পরমাণু কাকে বলে? পরমাণু বলতে কী বোঝ? উদাহরণ

আজকে আমরা জানবো পরমাণু কাকে বলে। তাই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো

পদার্থ মাত্রই অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমষ্টি এই ধারণা অতীতে ভারতীয় দার্শনিক কণাদ গ্রীক দার্শনিক ডেমোক্রিটাস প্রভৃতি মনীষীদের ছিল। 

পরবর্তীকালে বিজ্ঞানী জন ডালটন পরমাণুর পরিচয় এবং পদার্থের রাসায়নিক ধর্মে পরমাণুর ভূমিকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে সক্ষম হন।

পরমাণু কাকে বলে

মৌলিক পদার্থের যে ক্ষুদ্রতম কণা গুলির মধ্যে ওই মৌলের সব ধর্ম বজায় থাকে এবং যারা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাদের পরমাণু বলে।

যেমন- হাইড্রোজেন পরমাণু (H),অক্সিজেন পরমাণু (O),নাইট্রোজেন পরমাণু(N) ইত্যাদি।

পরমাণ কাকে বলে অন্যভাবে বলতে পারি।মৌলের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে ওই মৌলের সমস্ত ধর্ম বজায় থাকে যা রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে ও যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না, তাকে পরমাণু বলে।

কিছু পরমাণুর স্বাধীন অস্তিত্ব আছে যেমন- হিলিয়াম(He), নিয়ন(Ne) প্রভৃতি নিষ্ক্রিয় মৌল।

পরমাণুর মূল উপাদান

পরমাণু তিনটি মূল কণিকা দ্বারা গঠিত-
1.ঋণাত্মক তড়িৎস্থ কণা ইলেকট্রন।
2.ধনাত্মক তড়িৎগ্রস্থ কণা প্রোটন।
3. নিস্তড়িত কণা নিউট্রন।

সাধারণ হাইড্রোজেনের পরমাণু শুধুমাত্র ইলেকট্রন ও প্রোটন কণা দ্বারা গঠিত এতে কোন নিউট্রন করা থাকে না।

পরমাণুর গঠন

  • পরমাণুতে নিউক্লিয়াস কে কেন্দ্র করে ইলেকট্রন গুলি বিভিন্ন কক্ষপথে আবর্তন করে।
  • পরমাণুর অধিকাংশ স্থানই ফাঁকা, পরমাণুর আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রন গুলির মোট আয়তন খুবই কম।
  • নিউক্লিয়াসের ভর ইলেকট্রনের তুলনায় বহুগুণ বেশি।
  • নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রন তড়িৎ প্রস্থ কণা।
  • পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন গুলি বৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তন করেন নিউক্লিয়াস থাকে বৃত্তের কেন্দ্রে অথবা উপবৃত্তের ফোকাসে। 
  • প্রতিটি ইলেকট্রনের ভর এবং আয়তন সমান।
  • স্থির তড়িৎ আকর্ষণ বল এর প্রভাবে ইলেকট্রন গুলি নিউক্লিয়াসের চারদিকে ঘোরে।
  • পরমাণুতে যে কোন কক্ষপথে একাধিক ইলেকট্রন থাকতে পারে।
  • পরমাণুতে ইলেকট্রন গুলি বিশেষ অবস্থান অনুযায়ী এক কক্ষ থেকে আরেক কক্ষে যেতে পারে। 

উপসংহার 

আশা করি পরমাণু কাকে বলে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পেরেছেন।

Post a Comment

0 Comments